সীমান্তবর্তী এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প ( বি. এ . ডি . পি )
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে এই প্রকল্প বহু বছর যাবৎ গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজগুলির ব্যাপ্তি। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যাবস্থা, স্বশাসিত সংস্থা, স্থানীয় পুরসভা এবং সরকারি দপ্তরগুলির মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজগুলি রূপায়িত হয়। ভারতবর্ষের দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণে, নানাবিধ পরিকাঠামো উন্নয়ণে, স্বাস্থ্য রক্ষায়, ক্রীড়া বিষয়ক কর্মসূচী রূপায়ণে, কৃষি, শিক্ষা সহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্প একদিকে যেমন সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের প্রত্যেক দিনের জীবনযুদ্ধকে সহজতর করে তুলছে, অপরদিকে আন্তর্জাতিক সীমানায় দেশের নিরাপত্তাকেও সুরক্ষিত হতে সাহায্য করছে।
নির্দেশক নীতি:
সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামীণ মানুষের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণে এবং তাদের সামগ্রিক উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজগুলি নির্দিষ্ট করে জেলা প্রশাসন এবং তারপরে তা বরাদ্দকৃত অর্থের দ্বারা রূপায়িত হয় । বেকার যুবক যুবতীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মহিলাদের শৌচালয় নির্মাণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় । এ জেলার বিস্তীর্ন এলাকার গ্রামগুলি আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর অবস্থান করে । সেই সব গ্রামের মানুষের জীবন যন্ত্রনা মোচনে – সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প ( বি. এ . ডি . পি ) এর ভূমিকা অনস্বীকার্য
গ্রামের পরিপৃত্তি:
ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি (ডিএলসি) ‘গ্রামের পরিপৃত্তি’ অবকাঠামোর জন্য তাদের নিজস্ব সংজ্ঞা তৈরি করবে। যাইহোক, ‘একটি গ্রামের পরিপৃত্তি’-এর জন্য, ন্যূনতম সুবিধাগুলির মধ্যে থাকবে রাস্তার সংযোগ, স্কুলের পাশাপাশি মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট, খেলাধুলার সুবিধা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, কমিউনিটি সেন্টার, পাবলিক টয়লেট বিশেষ করে মহিলাদের জন্য, ঘর। শিক্ষক এবং স্বাস্থ্য কর্মী, ইত্যাদি। তবে গ্রামগুলির স্থানীয় অবস্থা বিবেচনায় রেখে স্যাচুরেশনের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা DLC-এর দায়িত্ব হবে।
স্কিমগুলির জন্য তহবিল ব্যবহার করা হয়:
- সেক্টর: অবকাঠামো (I)
- স্কিম: সংযোগ সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট, ফুটপাথ এবং হেলিপ্যাডের পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই।
- সেক্টর: অবকাঠামো (II)
- স্কিম: নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ
- সেক্টর: স্বাস্থ্য
- স্কিম: পিএইচসি ভবন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, মোবাইল ডিসপেনসারি/অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার এবং প্যারা-মেডিক্সের জন্য ঘর।
- সেক্টর: কৃষি
- স্কিম: কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতের অধীনে সমস্ত কার্যক্রম।
- সেক্টর: সামাজিক খাত
- স্কিম:
- কমিউনিটি সেন্টার, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সাধারণ আশ্রয়কেন্দ্র ইত্যাদি। বিদ্যুৎ, ট্র্যাক, ট্রানজিট ক্যাম্প, টয়লেট সুবিধা সহ কিসান শেড ইত্যাদি।
- পর্যটন এবং আতিথেয়তা ইত্যাদি সহ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়ন।
- স্যানিটেশন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য টয়লেট নির্মাণ, গ্রামীণ স্যানিটেশন ইত্যাদি।
- স্কিম:
- সেক্টর: শিক্ষা
- স্কিম: স্কুলের ভবন, আবাসিক স্কুল, লাইব্রেরি, কম্পিউটার, বিজ্ঞান ও পরীক্ষাগার কক্ষ, স্কুলে নিয়োজিত শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের জন্য ঘর নির্মাণ।
- সেক্টর: ক্রীড়া কার্যক্রম
- স্কিম: ক্রীড়া কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে খেলার মাঠ, মিনি-ওপেন স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম, অডিটোরিয়াম, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস এবং অন্যান্য ক্রীড়া-সম্পর্কিত অবকাঠামো
- সেক্টর: বিশেষ/নির্দিষ্ট এলাকা স্কিম
- স্কিম: মডেল ভিলেজ, ডিসপেনসারী নির্মাণ, মোবাইল ডিসপেনসারি, জীবিকা নির্বাহের জন্য সম্প্রদায় ভিত্তিক পরিকাঠামো, জৈব চাষের প্রচার, নতুন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি, পর্যটন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, খাদ্যশস্য ও পশুখাদ্যের গুদাম, ই-চৌপাল, মোবাইল মিডিয়া ইত্যাদি।