স্থানীয় সাংসদ এলাকা উন্নয়ণ প্রকল্প (এম. পি. ল্যাডস )
নিজস্ব সংসদ এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাননীয় সাংসদের সুচিন্তিত অভিমত এবং সুপারিশকে কার্যকর করার লক্ষ্যে ১৯৯৩ খ্রীষ্টাব্দের ২৩ শে ডিসেম্বর ভারত সরকার দ্বারা এই প্রকল্পের সূচনা ঘটে। প্রথমে সংসদ পিছু বরাদ্দ ছিল প্রতি আর্থিক বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে তা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমান বরাদ্দের পরিমান প্রতি আর্থিক বছরে পাঁচ কোটি টাকা। জনগনের জন্য স্থায়ী সরকারী সম্পদ সৃষ্টি এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
লোকসভার সাংসদের ক্ষেত্রে নিজের নিজের সংসদ এলাকায় ব্যয় করার সীমাবদ্ধতা থাকলেও কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে মাননীয় সাংসদ এই প্রকল্পের অর্থ নিজের এলাকার বাইরেও খরচ করার সুপারিশ করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ – জাতীয় সংহতি , ঐক্য, সৌভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি করে এমন প্রকল্পে পঁচিশ লক্ষ টাকা ব্যায়িত হতে পারে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যে কোন স্থানে এমনকি ঐ রাজ্যের বাইরেও। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যে কোন জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ব্যায়িত হতে পারে পঁচিশ লক্ষ টাকা। দেশের যে কোন স্থানে ভূমিকম্প, সাইক্লোন, সুনামি সহ ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সংসদ তাঁর এলাকার বাইরে হওয়া সত্ত্বেও এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ ব্যয়ের সুপারিশ করতে পারেন।
রাজ্যসভার নির্বাচিত সদস্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এক বা একাধিক জেলায় উন্নয়ণের জন্য এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের সুপারিশ করতে পারেন। ঐ কক্ষের মনোনীত সদস্যগণ ভারতবর্ষের যে কোন রাজ্যের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের সুপারিশ করতে পারেন।
তপশীলী জাতি এবং তপশীলী উপজাতি উন্নয়ণ প্রকল্পে যথাক্রমে ১৫% এবং ৭.৫% অর্থ ব্যায় নিশ্চিত করা আবশ্যক।
স্থানীয় সাংসদ এলাকা উন্নয়ণ প্রকল্প (এম. পি. ল্যাডস) এর অর্থ একযোগে ব্যয়িত হতে পারে “মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চিতকরণ ” প্রকল্পের সাথে এবং “খেলো ইন্ডিয়া ” প্ৰকল্পের সাথে। সম্প্রতি “অটল জ্যোতি যোজনার ” সাথেও এর সংযুক্তিকরণ ঘটেছে।
মূলতঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজগুলি রূপায়িত হলেও, এন. জি. ও দের মাধ্যমেও রূপায়ন ঘটতে পারে তবে সেক্ষত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।