সমাজ কল্যাণ বিভাগ
রাষ্ট্রিয় পরিসরে সমাজ কল্যাণ বলতে ব্যক্তি কল্যাণের পাশাপাশি, আইনি পরিষেবা ও সরাসরি সুবিধা প্রদানের বিষয় টিও অগ্রাধিকার পায়। বর্তমানে যে যে কর্মসূচি গুলো এর আওতায় চলছে, তার সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে দেওয়া হয়েছে।
সরাসরি সুবিধা প্রদানের কর্মসূচি :-
বিভিন্ন ভাতা, বৃত্তি ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত প্রকল্প :
- প্রকল্পের নাম : বিধবা ভাতা
-
- জেলার বরাদ্দ : ২০০৩
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ৭৫০
-
- প্রকল্পের নাম : বয়স্ক ভাতা
- জেলার বরাদ্দ : ২৭৬৪
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ৭৫০
- প্রকল্পের নাম : প্রতিবন্ধী ভাতা
- জেলার বরাদ্দ : ২১৩৬
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ৭৫০
- প্রকল্পের নাম : মানবিক ভাতা (> ৫০% প্রতিবন্ধকতা)
- জেলার বরাদ্দ : অনির্দিষ্ট সংখ্য
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ১০০০
- প্রকল্পের নাম : প্রতিবন্ধী ছাত্র ভাতা
- জেলার বরাদ্দ : ২০০
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ৩০০
- প্রকল্পের নাম : আর্থিক পুনর্বাসন অনুদান
- জেলার বরাদ্দ : ১২৫
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ১০০০০
- প্রকল্পের নাম : প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র
- জেলার বরাদ্দ : অনির্দিষ্ট সংখ্য
- প্রাপ্য অর্থমূল্য : ……………
শিশু সুরক্ষা কর্মসূচি :-
সামগ্রিক ভাবে শিশু প্রতিরক্ষা আইন ২০১৫ অনুসারে প্রকল্প গুলি পরিচালিত হয়।
- সুরক্ষার মাধ্যম : প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা
- বসবাসের স্থান : সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পরিচালিত আবাস
- প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা : সার্বিক ভরনপোষণ
- সুরক্ষার মাধ্যম : অ – প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা
- বসবাসের স্থান : সরকারি বিভিন্ন ছাত্রাবাস
- প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা : সার্বিক ভরনপোষণ
- সুরক্ষার মাধ্যম : প্রতিপাদন অনুদান
- বসবাসের স্থান : নিজস্ব পরিবার অথবা নিকট আত্মীয়ের বাড়ি
- প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা : মাসিক ২,০০০/- সর্বোচ্চ*
- সুরক্ষার মাধ্যম : বিকল্প অভিভাবকত্ব
- বসবাসের স্থান : মনোনীত অভিভাবক
- প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা : মাসিক ২,০০০/- সর্বোচ্চ
- সুরক্ষার মাধ্যম : দত্তক গ্রহণ
- বসবাসের স্থান : SAA Homes (Govt / NGO)
- প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা : সার্বিক ভরনপোষণ
- সুরক্ষার মাধ্যম : অত্যাচারের ক্ষতিপূরণ
- বসবাসের স্থান : পারিবারিক প্রতিস্থাপন
- প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা : এককালীন ৩-৫ লাখ**
* শিশু সুরক্ষা সমিতির দ্বারা নির্ধারিত সর্বোচ্চ চার বছরের জন্য
** রাজ্য আইনি সহায়তা অধিকর্তার দ্বারা প্রদেয় অ্যাসিড আক্রান্ত ও ধর্ষণের ক্ষেত্রে
বয়স্ক নাগরিকের ভরণপোষণ ও সুরক্ষার জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল :-
এই কয়দিন অল মহকুমা স্তরে মহকুমা শাসকের পৌরহিত্যে কাজ করে। এর প্রণিধানের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে আপিল করা যায়। দুহাজার উনিশ কুড়ি সালে এখনো পর্যন্ত মোট ২৭ টি অভিযোগ এই ট্রাইব্যুনালের বিচারে এসেছে। তথাপি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়। অধিকাংশ বয়স্ক নাগরিক স্বাস্থ্য বীমা করান নি। এছাড়া সম্পত্তি ও বিষয়-আশয় জনিত আইনের সম্বন্ধেও তাদের যথেষ্ট অগ্যতা রয়েছে। এইদিকে আসু দৃষ্টিপাত প্রয়োজন।
গার্হস্থ্য ও বৈবাহিক হিংসার পরিমণ্ডল থেকে মহিলাদের সুরক্ষা :-
এই প্রকল্পের আওতায় সেই সব মহিলা দের অন্তর্বর্তীকালীন ভরণপোষণের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। Besides, এছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির 498 এ ধারার বাইরে ও এই আইনে কিছু নির্দিষ্ট বিধানের কথা উল্লেখ আছে। দুহাজার উনিশ কুড়ি সালে এখনো পর্যন্ত মোট 31 টি এ ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে জেলা আইনি পরিষেবা সহায়তা সমিতি দ্বারা নিয়োজিত আইনজ্ঞরা এই বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন; যার ফলে অধিকাংশ মামলারই সময়মতো শুনানি হচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা অনুশাসন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পসমূহ :-
জেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিবন্ধকতা যুক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে ধরনের সহায়ক সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকে, তার উৎপাদন ও সময় অনুসারে বন্টন।
- মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ শিবির আয়োজন করা, যার ভিত্তিতে উদ্দিষ্ট উপভোক্তা দের কে শংসাপত্র প্রদানের কাজ টি হয়ে থাকে।
- যার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রাপ্য সরকারি সুযোগ সুবিধা সমূহের বিষয়ে জানানো।
- মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইনি অভিভাবকত্ব প্রদানের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে local level committee র সদস্য হিসেবে সাহায্য করা হয়।
স্বাধার – গৃহ, বিধবা বিভাগ ও নিবিষ্ট কেন্দ্র (One stop center) :-
যে সব মহিলা রা পারিবারিক আত্যাচারের ফলে আকস্মিক ভাবে ঘরছাড়া হয়েছে, তাদের আপতকালীন সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্যে নিবিষ্ট কেন্দ্র টি কে ভাবা হয়েছে। এখানে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে।রাজ্যস্তর থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্বাধার গৃহ স্থাপনের জন্যে দুটি প্রস্তাব এসেছে কালিয়াচক – ৩ ও পুরাতন মালদহ থেকে। এই বিষয়ে তথ্যপঞ্জি তৈরির কাজ প্রায় সম্পুরন।শ্রম দপ্তর ও আই সি ডি এসের মিলিত প্রচেষ্টায় এই কাজ চলছে।
শৈশালি শিশু কন্যা আবাস :-
এটি এই জেলার একমাত্র সরকার দ্বারা পরিচালিত JJB Home. ২০১৭ সালে এর নিজস্ব ভবন তৈরি হয়। এখানে সেই সব মেয়েরা থাকছে যারা শিশু সুরক্ষা সমিতির মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে।এখানে যাবতীয় পরিষেবা, পড়াশোনা ও খেলা-ধুলা ও বিনোদনের উপকরণ রয়েছে। বিগত এক বছরে ৪৩৬ টি বালিকা এখানে এসেছে। একই সময় কালে ৪২২ টি বালিকা কে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিদেশী (অনুপ্রবেশকারী) বালিকারাও এখানে থাকছে। তাদের কে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানোর পরে তাদের সামাজিক পুনর্বাসন সুষ্ঠ ভাবে হচ্ছে কিনা টা নিয়মিত ভাবে নিরীক্ষণ করা হয় DCPU র সদস্য দের দ্বারা।কন্যাশ্রী ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়।